তালশাঁস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৬০ বছরের বৃদ্ধ

25th September 2021 1:17 pm বাঁকুড়া
তালশাঁস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৬০ বছরের বৃদ্ধ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   তালশাঁস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের  বিরুদ্ধে ।

ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলা জয়পুর থানার শালতোড়া গ্রামে কুড়ি তারিখ বিগত পাঁচদিন পূর্বে শালতোড়া গ্রামের বছর ৬০ এর আবতার খাঁ নামের এক বৃদ্ধ ওই গ্রামের ১৫ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তালশাঁস খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে গ্রামের পাশেই পুকুরের কাছে একটি নালায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এমনই অভিযোগ পরিবারের । মেয়েটির চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তার মা ঘটনাস্থলে যায় তার মাকে দেখে অভিযুক্ত ছুটে পালিয়ে যায় এরপর ওই কিশোরীর কে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং পরে ওই কিশোরী অসুস্থ হলে নির্যাতিতা কিশোরীকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
প্রথমে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়ার জন্য অভিযুক্তের পক্ষ থেকে নির্যাতিতার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় কিন্তু কিশোরীর পরিবার সেই ছাপ অগ্রাহ্য করে দোষীর কড়া শাস্তির প্রয়োজন মনে করেন এরপর নির্যাতিতার বাবা গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিকেলে জয়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে আজ জয়পুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।